নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্য নির্ধারিত হয়েছে সেটাই হচ্ছে এই ঘর, যা মক্কায় অবস্থিত এবং সারা জাহানের মানুষের জন্য হেদায়াত ও বরকতময়। সুরা আলে ইমরান-৯৬।
কাবা মুসলমানদের কিবলা। ভৌগলিক সীমারেখা নির্বিশেষে দুনিয়ার প্রতিটি মুসলমান দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে কাবার দিকে মুখ করে। কাবা পৃথিবীর নিয়ামক শক্তি। তাবৎ মানবজাতির অস্থিত্ব রক্ষাকারী মহাশক্তি। মাত্র একটি বছর হজব্রত পালনে বিশ্ববাসী বিরত থাকলে পৃথিবী ধ্বংস অনিবার্য। কাবার দিকে মুসলমানদের আকর্ষণ সহজাত। কাবা মুসলমানদের কলিজার টুকরা। তাইতো প্রতি বছর লাখ লাখ মুসলমান মনের টানে পাগলের বেশে পঙ্গপালের মত ছুটে যায় কাবার দিকে। কাবার দিকে আল্লাহ্ প্রেমিকদের এই স্রোত এই আধুনিক যুগে যেমন দৃশ্যমান, দৃশ্যমান প্রাচীন সেই যুগেও যখন হজ্জ করা ছিল যার পরনাই কষ্টসাধ্য ছিল মৃত্যুপথে যাত্রার নামান্তর। কল্পনা করা যায় কী কষ্ট! পদব্রজে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে কাবা পৌছা। তবু থেমে থাকেনি কাবার দিকে আল্লাহ প্রেমিকদের যাত্রা। কী সুস্থ, কী অসুস্থ ঈমানদার মাত্রই আল্লাহর ঘর কাবা যিয়ারতের জন্য ব্যাকুল, বেকারার। সুস্থ সবল মানুষতো বটেই অসুস্থ, বিকলাঙ্গ, পঙ্গু মানুষেরা পর্যন্ত সুদুর বোখারা থেকে হামাগুড়ি দিয়ে দীর্ঘ ১০ বছরে কাবা পৌঁছার বিস্ময়কর কাহিনী ইতিহাসে বিধৃত আছে।
ধন্য হাজি সাহেবান ধন্য তাদের জীবন। আল্লাহর ঘরের চতুষ্পার্শ বেহেশত থেকে স্থানান্তরিত হাজরে আসওয়াদে চুমু খাওয়া মানে সে স্থানে ঠোট লাগানো।
আরো লেখা দেখুন